গাজওয়াতুল হিন্দ; সত্য হতে যাচ্ছে রাসুল (সাঃ) এর ভবিষ্যদ্বাণী ২০২৫ - Islamiclife24.xyz

আসসালামু আলাইকুম ওয়ারাহমাতুল্লাহ্ !!

আজকে আমি এই পোস্টে আলোচনা করতে যাচ্ছি খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি ভবিষ্যদ্বাণী। যা হলো পৃথিবীর ইতিহাসে সবচেয়ে বড় ধর্মযুদ্ধ (গাজওয়ায়ে হিন্দ) বা গাজওয়াতুল হিন্দ (Ghazwatul Hind)। এখন অনেকের মনে প্রশ্ন আসতে পারে, গাজওয়ায়ে হিন্দ কী?


গাজওয়ায়ে হিন্দ হলো- মুসলমান উম্মাহদের সাথে ভারতের হিন্দুস্থানদের একটি যুদ্ধ। এই যুদ্ধটি হল পৃথিবীর ইতিহাসের সবচেয়ে বড় একটি ধর্মযুদ্ধ। আর এই যুদ্ধে নিশ্চিতভাবে জয়ী হবে মুসলমানরা। নিচে গাজওয়াতুল হিন্দ সম্পর্কে হাদিস অনুযায়ী বিস্তারিত আলোচনা তুলে ধরা হলঃ- 


গাজওয়াতুল হিন্দ কী? ইসলামিক যুদ্ধের ইতিহাস  


আমি আবারও বলছি গাজওয়ায়ে হিন্দ হল- পৃথিবীতে সবচেয়ে বড় যে ধর্মযুদ্ধ হবে সেটাই হল "গাজওয়ায়ে হিন্দ"। অর্থাৎ হিন্দুস্থান ভারতের বিরুদ্ধে মুসলমান উম্মাহদের ভবিষ্যদ্বাণী একটি যুদ্ধ। অপরদিকে এটি হবে ইসলামের বৃহত্তম জিহাদগুলোর মধ্যে একটি। মুসলিম উম্মাহদের বিশ্বাস অনুযায়ী এই সম্মানিত যুদ্ধে নিশ্চিতভাবে মুসলমান উম্মাহরা বিজয় লাভ করবেন। (সুব হান আল্লাহ..)


কিন্তু এই সম্মানিত যুদ্ধে এক তৃতীয়াংশ মুসলমান শাহাদাত বরণ করবেন এবং শেষাংশ যুদ্ধ শেষ করে বিজয় লাভ করবেন। (সুবহানাল্লআহ..)


যারা এই মর্যাদাবান যুদ্ধে অংশগ্রহণ করে শাহাদাত বরন করবেন, আল্লাহ তা'য়ালা তাদেরকে নিশ্চিতভাবে জান্নাতবাসী করবেন। আর যেসব মুসলমানরা এই মর্যাদাবান যুদ্ধে বিজয়ী হয়ে গাজী হয়ে ফিরবেন তারা ঈমান নিয়ে মৃত্যুবরন করবেন আর জান্নাতবাসী হবেন।


আবু হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, আমার উম্মতের মধ্যে দুটি দলকে আল্লাহ তা'য়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবেন। তারমধ্যে অন্যতম হল যারা গাজওয়াতুল হিন্দ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে। অর্থাৎ যারা গাজওয়াতুল হিন্দ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করবে তাদেরকে আল্লাহ তা'য়ালা জাহান্নামের আগুন থেকে মুক্তি দিবেন। (সুনানে নাসায়ী- ৩১৭৩, মুসনাদ আহমদ- ৭১২৮)


আবার এই সম্মানিত যুদ্ধ থেকে যেসব নামধারী মুসলমানরা পালিয়ে যাবে তারা বেইমান হয়ে মৃত্যুবরন করবে। তাদের অবস্থা হবে খুবই নাজেহাল। অর্থাৎ তারা হবে জাহান্নামের কীট। (নাউজুবিল্লাহ..)



পবিত্র হাদিস শরীফে গাজওয়াতুল হিন্দ (Ghazwatul Hind) সম্পর্কে উল্লেখ করা হয়েছে, এটা হবে কাফির মুশরিকদের সাথে মুসলমানদের একটি যুদ্ধ যা পৃথিবীর ভিতর বৃহত্তম জিহাদ বা যুদ্ধ। এই যুদ্ধে হিন্দুস্তানের মোট মুসলিমদের এক তৃতীয়াংশই শহীদ হবে, আরেক অংশ পালিয়ে যাবে আর শেষের অংশ জিহাদ চালিয়ে যাবে।


এই যুদ্ধে মুসলমানদের নিশ্চিত জয় হবে।  কিন্তু এটা এতোটাই ভয়াবহ যে হয়তো অল্প কিছু সংখ্যক মুসলিমরাই বেঁচে থাকবেন বিজয়ের খোশ আমদেদ করার জন্য।


অন্য বর্ণনায় আছে, গাজওয়াতুল হিন্দ হিন্দুস্তানের (চুড়ান্ত) যুদ্ধ। রাসুল (সাঃ) একদিন পূর্ব দিকে তাকিয়ে বড় বড় নিশ্বাস নিচ্ছিলেন, এমন সময় এক সাহাবি রাসুল (সাঃ) কে জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আপনি এমন করছেন কেন.....??


রাসুল (সাঃ) বললেন, "আমি পূর্ব দিক থেকে বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছি।" সাহাবায়ে কেরাম রাদিআল্লাহু তা'য়ালা আনহু উনারা জিজ্ঞাসা করলেন ইয়া রাসুলুল্লাহ (সাঃ) আপনি কিসের বিজয়ের গন্ধ পাচ্ছেন? রাসুল (সাঃ) বললেন, পুর্ব দিকে মুসলিম ও মুশরিকদের (যারা মুর্তিপুজা করে) সাথে যুদ্ধ শুরু হবে। যুদ্ধটা হবে অসম। মুসলিম সেনাবাহিনী থাকবে সংখ্যায় সীমিত, কিন্তু মুশরিক সেনাবিহিনী থাকবে সংখ্যায় অধিক।


ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা এত বেশি মারা যাবে যে রক্তে মুসলিমদের পায়ের টাকুনি পর্যন্ত ডুবে যাবে। ঐ যুদ্ধে মুসলিমরা তিন ভাগে বিভক্ত থাকবে। যেমনঃ-


(১) এক ভাগ বিশাল মুশরিক বাহিনি দেখে ভয়ে পালিয়ে যাবে, তারাই হলো জাহান্নামী।


(২) আর এক ভাগ সবাই যুদ্ধে শহীদ হয়ে আল্লাহর কাছে সর্বোচ্চ মর্যাদা লাভ করবে।এবং


(৩) শেষ ভাগ আল্লাহর ওপর ভরসা করে যুদ্ধ চালিয়ে যাবে এবং শেষ পর্যন্ত জয় লাভ করবেন। (সুবহান আল্লাহ, আল্লাহু আকবার)



রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেন, এই যুদ্ধ বদর যুদ্ধের (badr war) সমতুল্য! (সুবহানাল্লাহ)
তিনি আরো বলেছেন, ঐ সময় মুসলিমরা যে যেখানেই থাকুক না কেন তারা যেন সেই যুদ্ধে শরীক হন। (নাসায়ী খন্ড ০১,পৃষ্টা ১৫২, সুনানে আবু দাউদ খন্ড ০৬,পৃষ্টা ৪২)


তাই যাহাদের ভাগ্যে এই যুদ্ধ নসীব হবে, তারা যেন এই যুদ্ধে শরীক হয়। যুদ্ধে শহীদ বা গাজী হওয়া আল্লাহর হাতে। আমরা আল্লাহর জন্য যুদ্ধ করবো আর আল্লাহর জন্যই শহীদ হবো। এই জমিনে আল্লাহর দ্বীন কায়েমের জন্য যুদ্ধ করবো এবং আল্লাহর দ্বীন কায়েম করেই ছাড়বো। (ইন শা আল্লাহ)


আল্লাহ তা'য়ালা আমাদের সবাইকে বোঝার তৌফিক দান করুক ও ইসলামের সাথে থেকে ঈমান সহীত মৃত্যুবরন করার নসীব দান করুক।.......(আমিন)

*

একটি মন্তব্য পোস্ট করুন (0)
নবীনতর পূর্বতন